সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০২০

অনি (১)

আমি ভালোই আছি, তোমাকেও ভালো থাকতে দেই
এই কথার মর্মার্থ উদ্ধার করতে পারিনি 
এর একটি মানে কি তোমার সাথে কথা বলা বন্ধ?
চোখের ছোট্ট দুইটি জানালা দিয়ে মনকে জিজ্ঞেস করে দেখো
সে কি অন্ধ? 

সে কি অন্ধ, দেখতে পায়না আমার বুকের শূন্যতা
দিগন্তে যখন তুমি থাকোনা, তুমি অনিন্দিতা?  

অনি ২

প্রিয় অনিন্দিতা, কেমন আছো?

আজ নিয়ে তিন দিন

তোমায় ছাড়া ভালো নেই

খুব সকালে আকাশ মেঘলা

বৃষ্টিতে কোন গন্ধ নেই। 


তুমি হারিয়েছো গভীরে 

যে রাস্তার শেষ নিখোঁজ দিগন্তে

যেখানে নেই সন্ধ্যামালতী, শিউলি কিংবা মায়াবী বকুল 

যেখানে কেবলই অন্ধকার 

কুহুক জড়াইয়া ধরিয়া থাকে কাশফুল। 


যার পর তুমি কেবলই কবিতা

আমার অস্তিত্ব ঝাপসা স্মৃতি 

ধূসর স্মৃতির উঠোনে আমি

অন্য কেউ তোমার সঙ্গী। 

……..

……..

অনি, 

আমাদের সম্পর্কটা বুঝেছো টিকেছিলো অনেকদিন

হয়তো আরো কয়েকবছর বাড়ানো যেতো 

কিন্তু কি জানো? 

সাথে হয়তো তোমার আমার দুরত্বটাও বাড়তো। 


পরস্পর পরস্পরের কাছে আসার যে রানওয়েতে আমরা ছিলাম এতোদিন

তা থেকে দুজনেই দূরে সরে যাচ্ছি বেশ

তোমার হাত ধরিনা কতো লক্ষ বছর

আমার চুলের গন্ধটাও শেষ। 


সব কিছু কি এভাবেই একসাথে শেষ হয় অনিন্দিতা?

বাতাসে কেবল তোমার অনুরাগের আভাস ভেসে থাকে। 


শরীরের যত্ন নিচ্ছো তুমি

মনের যত্ন টাও নিও 

মন তোমার চৈত্রের আচমকা ঝড়ো হাওয়া

এর পূর্বাভাস কেউ রাখেনা। 


আমার প্রতি তোমার ক্ষোভ, তোমার প্রতি আমার একঘন্টা স্থায়ী অভিমান 

ভালবাসা সব বুঝি অতীত আজ

ভুল বুঝাবুঝি, ঝগড়াটাই বর্তমান। 


বর্তমানকেই কেন পাশে থাকতে হবে অনিন্দিতা?

আর তাড়া করে বেড়াবে পুরনো অতীত

এমনটা যদি হতো, সব ভুলে তুমি আমি

পাশাপাশি বৈশাখ, শ্রাবণ আর আরো হাজারটা শীত। 


সোমবার, ১১ মার্চ, ২০১৯

আবার পারমিতা

প্রিয় পারমিতা,
অনেক দিন পর আবার তোমার সাথে দেখা

রাতের অন্ধকারেরও যে একটা দৃশ্যমান আলো আছে
এবং সেই আলোতেও যে কাউকে চেনা যায়
তোমায় সেদিন দেখেই প্রথম আমি বুঝলাম।

আলাপহীন সাক্ষাতের যে সম্পর্ক তোমার আমার
নয় বছর আগেই শেষ হয়ে যেতে পারতো
সেদিনের সেই অভিনন্দিত অন্ধকার তাই আবার ফিরিয়ে দিলো।

লক্ষ্যের প্রতি সহানুভূতিশীল তুমি এখনো
হাসি আজও তোমার হাতিয়ার
অধিকতর প্রত্যয়যুক্ত যুক্তিতে শুধু,
চিন্তাছন্ন গাল সামান্য ঝুলে গেছে আমার।

কোন  জাহাজী পুরুষের অনুগামী দু:খ কতো রাত তোমায় ঘুমোতে দেয় নি,
তোমার চোখের নীচের কালি, মুখের দাগগুলো তা আমায় জানান দিচ্ছে স্পস্ট।
আর শরীরে বাড়তি মেদ বলছে তোমার
বেপরোয়া স্বাধীনতা, প্রবৃত্তির কাছে আত্মসমর্পণের গল্প।

শাড়ি পড়া তোমায় এর আগে কখনো দেখিনি আমি,
সে সুযোগও হয়নি আমার
নীল-সাদা ইউনিফর্ম সম্মুখস্ত মুগ্ধতায় শুধু
বিব্রত করেছিলো কয়েকবার।

তারপর সাময়িক নিষ্ক্রিয়বস্থা ভেঙ্গে সেদিন তুমি এক নৈসর্গিক শাড়িবরণে আমার সামনে এলে
জানতেতো আমি আসবো,
একবারও কি গতানুগতিক বসন্তের আকস্মিক সাজ আমায় দেখাতে ইচ্ছে করেছিলো তোমার?
খোপায় দুটো গোলাপ কি আমায় ভেবে দাও নি?

ভালো লাগার কিংবা না লাগার যে শত বছরের পুরনো প্রশ্ন আমার আষ্টেপৃষ্ঠে বাধা ছিলো
তার উত্তর আমি পেয়ে গেছি ঐ রাতেই
তারপরও তুমি জানতে চাও তোমার সাথে আমার কি সম্পর্ক
তোমার আমার সম্পর্কের নির্দিষ্ট কোন নাম নেই পারমিতা
চাইলেই কি আকাশের কোন নাম দেওয়া যায়?

শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৪

তুমি থেকে যাও পারমিতা

ভালবেসে আমি উদার হতে পারি নি কখনো
বলতে পারিনি তোমার যেখানে সুবিধা,যেখানে ইচ্ছা সেখানেই তুমি যাও পারমিতা
আমি ভালো থাকবো ।

ফোনে তো কথা হবে প্রতিদিনই
মাস কিংবা ছয় মাস পর দুজনের সাক্ষাতে
ফাল্গুনের কোন একক বিকেল বেলায়
আগুন অথবা শৌর্যবান কোন যুবকের মতো জ্বালাতে আসবো তোমায়...
এখন যেমনটা জ্বালাই
এখন যেমনটা ভালবাসি।

পারমিতা,
কোন এক অংশুময়ি  স্বার্থপরতা যেন প্রতিদিন গ্রাস করছে আমায়
মনোগত কথাগুলো মনের ভেতরে থেকেই অতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে বারবার।

অথচ... আজ আমার কোন এক আধুনিক শহরীয় নাগরিকের মতো উচু স্বরে
পৃথিবীর সকল শৌভনিক আকুতির মালা কন্ঠে ঝুলিয়ে উচিত
বারবার তোমায় বলা...
তুমি যেও না, তুমি যেও না
তুমি থেকে যাও পারমিতা ।

তুমি থেকে যাও অলস বিকেলের শেষ কোন রোদ গায়ে মেখে
সময়ের অবিস্মরণীয় স্মৃতিতে ।
নাহয় থেকে যাও কোন কিশোরীর নখের রঙ হয়ে
দার্শনিক কোন ভাবনাতে ।
নতুবা অষ্টাদশীর গন্ধহীন শরীরে অপছন্দের জামদানীতে
আসমানি কোন নীল হয়ে ।

তবু তুমি থেকে যাও,তবু তুমি থেকে যাও...

তবু তুমি থেকে যাও পারমিতা ঘন অন্ধকারেরই ললাটে
পাহাড় ঘেরা ব্যালকনিতে
নান্দনিক কোন ঘ্রাণ হয়ে
আমি যুবকের ভাবনায় ।

অথবা থেকে যাও
সদ্য আঠারো শেষ করা কোন তরুণীর বুকের
ছ' সেকেন্ডের দীর্ঘশ্বাস হয়ে
আমাদের শেষ মিলনের জায়গায় ।

তবু তুমি থেকে যাও ...

শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৪

একমাত্র কবিতা তোমায় নিয়ে

আমার শেষ কবিতা
হয়তো একান্ত একমাত্র কবিতা তোমায় নিয়ে।
হয়তো ভালোলাগা থেকে ভালবেসেই
আকাশের আসমানি নীল হয়ে যায় আমার চোখে সবুজ
তোমার চেয়ে বছর কয়েকের বড় হয়েও
তোমার সামনে আমি এখনো শত বছরের অবুঝ।

একদিন,
তোমার ভেতরের রহস্যগুলোকে দিবাকালীন অমলেট বানিয়ে
খেয়ে ফেলবো নির্দ্বিধায়।
শোবার ঘরের পর্দা টানিয়ে রেখে দেবো...
ফাগুনের ঢেউখেলানো বাতাসের সাথে তুমি
বিশ্বাসহীন মিতালী করে প্রতিবার ছুঁয়ে যাবে আমায়।

আমার সব দম্ভকে হার মানাবে
ডিফারেনশিয়াল ক্যালকুলাসের নতুন কোন অধ্যায়...
তোমার মুখ ভেবে, চোখ দেখে, হাসি শুনে
শেষ রাতে হটাৎ ভেঙে যাবে ঘুম
কমপ্যাক্ট ফ্লুরোসেন্টের অমাবশ্যায় আমি খুজবো তোমায় ।

তোমার আমার না মিলনের একেকটি রাত আর
স্নায়ুহীন আমার সকল অকবিতাদের দিব্যি...
অবাধ্য হয়ে বারবার আমি তোমায় ছুঁয়ে দিবো
নতুন কোন অজুহাতে নতুনভাবে আমি
তোমায় দেখে যাবো ।
ঘামিয়ে নাহয় দিয়েই আবারো তোমার হাত
তোমার হাতের গন্ধ শুকেই কাটবে নির্ঘুম
আগামী পৌষের শেষ কয়েকটি রাত।

শেষ রাতের একাকীত্ব ভেঙে দিতে
তুমি ভেবে জড়িয়ে ধরবো জীর্ন কোলবালিশ
বহু বছরের অভ্যেস
খুব সকালে ঘুম ভেঙে গেলেই
মুঠোফোনে পাঠাবো আবারো তোমায় 
বুনো শালিকের  নালিশ ।

বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৩

সে আমায় ভালোবাসতো খুব

রাত জাগার অভ্যাস তখনো হয় নি
বৃষ্টি ভালোবাসতাম বলে
কেউ একজন আমার জন্য সারা রাত জেগে থাকতো
বৃষ্টি দেখতো, দক্ষিণের জানালা খুলে ...

সে আমায় ভালোবাসতো খুব
পরদিন, তার চশমার ঝাপসা গ্লাস দুটোতে চোখ রেখেও আমি বুঝিনি
তার জানালার ভেজা পর্দার গন্ধ শুকেও আমি বুঝিনি...
সে আমায় ভালোবাসতো খুব । 

সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৩

অণুকবিতা ( আহা! )

মন খারাপের দিনগুলোতে এভাবেই তোমায় পাশে চাই
শাড়ি পড়ে এসেছিলে তুমি
রঙটা আমার জানা নাই ।