শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৪

তুমি থেকে যাও পারমিতা

ভালবেসে আমি উদার হতে পারি নি কখনো
বলতে পারিনি তোমার যেখানে সুবিধা,যেখানে ইচ্ছা সেখানেই তুমি যাও পারমিতা
আমি ভালো থাকবো ।

ফোনে তো কথা হবে প্রতিদিনই
মাস কিংবা ছয় মাস পর দুজনের সাক্ষাতে
ফাল্গুনের কোন একক বিকেল বেলায়
আগুন অথবা শৌর্যবান কোন যুবকের মতো জ্বালাতে আসবো তোমায়...
এখন যেমনটা জ্বালাই
এখন যেমনটা ভালবাসি।

পারমিতা,
কোন এক অংশুময়ি  স্বার্থপরতা যেন প্রতিদিন গ্রাস করছে আমায়
মনোগত কথাগুলো মনের ভেতরে থেকেই অতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে বারবার।

অথচ... আজ আমার কোন এক আধুনিক শহরীয় নাগরিকের মতো উচু স্বরে
পৃথিবীর সকল শৌভনিক আকুতির মালা কন্ঠে ঝুলিয়ে উচিত
বারবার তোমায় বলা...
তুমি যেও না, তুমি যেও না
তুমি থেকে যাও পারমিতা ।

তুমি থেকে যাও অলস বিকেলের শেষ কোন রোদ গায়ে মেখে
সময়ের অবিস্মরণীয় স্মৃতিতে ।
নাহয় থেকে যাও কোন কিশোরীর নখের রঙ হয়ে
দার্শনিক কোন ভাবনাতে ।
নতুবা অষ্টাদশীর গন্ধহীন শরীরে অপছন্দের জামদানীতে
আসমানি কোন নীল হয়ে ।

তবু তুমি থেকে যাও,তবু তুমি থেকে যাও...

তবু তুমি থেকে যাও পারমিতা ঘন অন্ধকারেরই ললাটে
পাহাড় ঘেরা ব্যালকনিতে
নান্দনিক কোন ঘ্রাণ হয়ে
আমি যুবকের ভাবনায় ।

অথবা থেকে যাও
সদ্য আঠারো শেষ করা কোন তরুণীর বুকের
ছ' সেকেন্ডের দীর্ঘশ্বাস হয়ে
আমাদের শেষ মিলনের জায়গায় ।

তবু তুমি থেকে যাও ...

শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৪

একমাত্র কবিতা তোমায় নিয়ে

আমার শেষ কবিতা
হয়তো একান্ত একমাত্র কবিতা তোমায় নিয়ে।
হয়তো ভালোলাগা থেকে ভালবেসেই
আকাশের আসমানি নীল হয়ে যায় আমার চোখে সবুজ
তোমার চেয়ে বছর কয়েকের বড় হয়েও
তোমার সামনে আমি এখনো শত বছরের অবুঝ।

একদিন,
তোমার ভেতরের রহস্যগুলোকে দিবাকালীন অমলেট বানিয়ে
খেয়ে ফেলবো নির্দ্বিধায়।
শোবার ঘরের পর্দা টানিয়ে রেখে দেবো...
ফাগুনের ঢেউখেলানো বাতাসের সাথে তুমি
বিশ্বাসহীন মিতালী করে প্রতিবার ছুঁয়ে যাবে আমায়।

আমার সব দম্ভকে হার মানাবে
ডিফারেনশিয়াল ক্যালকুলাসের নতুন কোন অধ্যায়...
তোমার মুখ ভেবে, চোখ দেখে, হাসি শুনে
শেষ রাতে হটাৎ ভেঙে যাবে ঘুম
কমপ্যাক্ট ফ্লুরোসেন্টের অমাবশ্যায় আমি খুজবো তোমায় ।

তোমার আমার না মিলনের একেকটি রাত আর
স্নায়ুহীন আমার সকল অকবিতাদের দিব্যি...
অবাধ্য হয়ে বারবার আমি তোমায় ছুঁয়ে দিবো
নতুন কোন অজুহাতে নতুনভাবে আমি
তোমায় দেখে যাবো ।
ঘামিয়ে নাহয় দিয়েই আবারো তোমার হাত
তোমার হাতের গন্ধ শুকেই কাটবে নির্ঘুম
আগামী পৌষের শেষ কয়েকটি রাত।

শেষ রাতের একাকীত্ব ভেঙে দিতে
তুমি ভেবে জড়িয়ে ধরবো জীর্ন কোলবালিশ
বহু বছরের অভ্যেস
খুব সকালে ঘুম ভেঙে গেলেই
মুঠোফোনে পাঠাবো আবারো তোমায় 
বুনো শালিকের  নালিশ ।