সোমবার, ১১ মার্চ, ২০১৯

আবার পারমিতা

প্রিয় পারমিতা,
অনেক দিন পর আবার তোমার সাথে দেখা

রাতের অন্ধকারেরও যে একটা দৃশ্যমান আলো আছে
এবং সেই আলোতেও যে কাউকে চেনা যায়
তোমায় সেদিন দেখেই প্রথম আমি বুঝলাম।

আলাপহীন সাক্ষাতের যে সম্পর্ক তোমার আমার
নয় বছর আগেই শেষ হয়ে যেতে পারতো
সেদিনের সেই অভিনন্দিত অন্ধকার তাই আবার ফিরিয়ে দিলো।

লক্ষ্যের প্রতি সহানুভূতিশীল তুমি এখনো
হাসি আজও তোমার হাতিয়ার
অধিকতর প্রত্যয়যুক্ত যুক্তিতে শুধু,
চিন্তাছন্ন গাল সামান্য ঝুলে গেছে আমার।

কোন  জাহাজী পুরুষের অনুগামী দু:খ কতো রাত তোমায় ঘুমোতে দেয় নি,
তোমার চোখের নীচের কালি, মুখের দাগগুলো তা আমায় জানান দিচ্ছে স্পস্ট।
আর শরীরে বাড়তি মেদ বলছে তোমার
বেপরোয়া স্বাধীনতা, প্রবৃত্তির কাছে আত্মসমর্পণের গল্প।

শাড়ি পড়া তোমায় এর আগে কখনো দেখিনি আমি,
সে সুযোগও হয়নি আমার
নীল-সাদা ইউনিফর্ম সম্মুখস্ত মুগ্ধতায় শুধু
বিব্রত করেছিলো কয়েকবার।

তারপর সাময়িক নিষ্ক্রিয়বস্থা ভেঙ্গে সেদিন তুমি এক নৈসর্গিক শাড়িবরণে আমার সামনে এলে
জানতেতো আমি আসবো,
একবারও কি গতানুগতিক বসন্তের আকস্মিক সাজ আমায় দেখাতে ইচ্ছে করেছিলো তোমার?
খোপায় দুটো গোলাপ কি আমায় ভেবে দাও নি?

ভালো লাগার কিংবা না লাগার যে শত বছরের পুরনো প্রশ্ন আমার আষ্টেপৃষ্ঠে বাধা ছিলো
তার উত্তর আমি পেয়ে গেছি ঐ রাতেই
তারপরও তুমি জানতে চাও তোমার সাথে আমার কি সম্পর্ক
তোমার আমার সম্পর্কের নির্দিষ্ট কোন নাম নেই পারমিতা
চাইলেই কি আকাশের কোন নাম দেওয়া যায়?